৩০ জুন ২০২৫ ইং রাত আনুমানিক ১১. ৩০ মিনিটে জলঢাকা উপজেলার জন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকার আর সি সি পাইপ লুট করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পথচারী ও স্থানীয় সাধারণ মানুষের হাতে ধরা পরে তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় ৫ টি ভ্যানে করে মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও  পথচারী তাতে বাঁধা প্রদান করে। 

এ সময় দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী ও লুটতরাজ কারীদের অস্ত্রের মুখে পথচারীরা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। 

এর কিছুক্ষণের মধ্যে জলঢাকা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরজু মো: সাজ্জাদ হোসেন সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে যান এবং দুটি ভ্যানের মালামাল আটকাতে সক্ষম হন এবং ভ্যানে থাকা মালামাল আটকে রেখে প্রায় তিন ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করে লুটতরাজ কারী মিঠুর প্রধান সহকারী আতাউর রহমান বাদল এর বাসার পুকুর থেকে আরো অনেক মালামাল উদ্ধার করেন। 

এ বিষয়টি নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দিলে, ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা হয়। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জায়িদ ইমরুল মোজ্জাক্কিন বিষয়টি তদন্ত করে জানতে পারেন যে, উক্ত মালামাল গুলি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কামাল এন্টারপ্রাইজের, যাহা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে রক্ষিত ছিল। 

উক্ত ছিনতাইকারীরা কামাল এন্টারপ্রাইজ এর ম্যানেজার জুলফিকার আলীকে জিম্মি করে পাঁচ  লক্ষ টাকা দাবি করে। 

দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে লুটতারাজ কারী নিজেরা ভ্যান নিয়ে এসে মালামাল  উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। 

অবশ্য এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিশেষ একটি মহল চেষ্টা করতেছে। 

উল্লেখ্য যে, ঠিকাদার মেসার্স  কামাল এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর কামাল হোসেন নিজেদের নিরাপত্তার কারণে অভিযোগ এবং থানায় এজাহার করতে ভয় পাচ্ছেন। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা  জানান যে, উক্ত লুটত্যারাজ কারীরা হলেন (১) মো; মনিরুজ্জামান মিঠু, পিতা- রফিকুল ইসলাম ভোম্বল, সাং- মাথাভাংগা, জলঢাকা।

(২) মো: আতাউর রহমান বাদল, পিতা- জোনাব আলী, বগুলা গাড়ি, জলঢাকা। এদের সাথে আরো অনেক অজ্ঞাত আসামী জড়িত বলে জানা গেছে। 

এই সরকারি মালামাল লুটতরাজের কারণে জলঢাকায় বর্তমানে থমথম পরিস্থিতি বিরাজ করছে। 

সরকারী মালামাল চুরির বিষয়ে জনস্বাস্থ্য অফিসের প্রহরী সাংবাদিকদের জানান, ঠিকাদারের লোকজন রাতে তালা খুলে আমাকে না জানিয়ে গোডাউন থেকে পাইপ নিয়ে গেছে। 

মেসার্স কামাল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সজীব আহমেদ জানান, ওসব পাইপ আমার, ওগুলো কুরিয়ার সার্ভিসে ঢাকা পাঠানো হবে। সরকারি গোডাউন থেকে রাতে এভাবে মালামাল নিয়ে যাওয়া ঠিক হয়নি আমার। 

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসার আব্দুল গফুর বলেন, ওগুলো ঠিকাদারের পাইপ। ওরাই নিয়ে গেছে, এখানে আমার কিছু করার নেই। 

থানার অফিসার ইনর্চাজ আরজু মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এলাকাবাসী মধ্যরাতে পাইপ আটক করে আমাদের খবর দিলে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঠিকাদারের লোককে আটক করে ভ‍্যান মালিক দুইজনকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

জলঢাকার সাধারণ মানুষ এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং বিচার দাবি করছে। যাতে ভবিষ্যতে আর কেহ এইরকম কোন সরকারি অফিসের মালামাল লুটতরাজ করতে না পারেে।

জলঢাকা এলাকাবাসী জানান, বাদল এক সময় ছিলেন স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের দোসর।

২০২৪ এর ৫ আগস্ট এর পট পরিবর্তনের পরে খোলস পাল্টিয়ে এখন জামাত ইসলামের সাথে যোগদান করেন তিনি। অনেকেই বলেন বাদল তার বাহিনী নিয়ে বিভিন্নভাবে হামলা ও মামলাসহ মানুষকে হুমকি ধামকি প্রদান করেন। সে আবার দাবি করেন আমি একজন কলেজ শিক্ষক। কিন্তু শিক্ষকের মধ্যে থাকে তার একটা প্রতারণার সন্ত্রাসী রূপ। 

বেশ ক'টি অনলাইন নিউজ পোর্টালে বাদল ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে নিউজ হওয়ায় তারা এই নিউজটি অনলাইন থেকে সরানো না হলে প্ত্রিকাগুলোর বিরুদ্ধে এক কোটি টাকা মানহানি মামলা দিবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও হুমকি দেন হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারে।