ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সন্তান জন্ম দিতে এখনো আমেরিকায় আসছেন বাংলাদেশি দম্পতিরা।

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jul 13, 2025 ইং
সন্তান জন্ম দিতে এখনো আমেরিকায় আসছেন বাংলাদেশি দম্পতিরা। ছবির ক্যাপশন: সন্তান জন্ম দিতে এখনো আমেরিকায় আসছেন বাংলাদেশি দম্পতিরা। [প্রতীকী ছবি]
ad728
সন্তান জন্ম দিতে এখনো আমেরিকায় আসছেন বাংলাদেশি দম্পতিরা। 

হাকিকুল ইসলাম খোকন, বাপসনিউজঃ  

যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেই একটি শিশু আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে-এ কারণে প্রতিবছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অসংখ্য দম্পতি এখানে সন্তান জন্ম দিতে আসেন। 

তবে বর্তমান ট্রাম্প  প্রশাসন জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব লাভের বিধান বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে। 

বাবা-মা দুজনের অন্তত একজনের এ দেশে বৈধ কোনো স্ট্যাটাস না থাকলে অর্থাৎ তাদের একজনও সিটিজেন কিংবা গ্রিনকার্ডধারী না হলে তাদের সন্তান এ দেশে জন্ম নিলে নাগরিকত্ব লাভ করতে পারবে না। 

বর্তমান প্রশাসন ইতিমধ্যে এটি কার্যকরের উদ্যোগ নিয়েছে, তবে তা আদালতে আপাতত আটকে আছে। 
ফলে এখনো বাংলাদেশিসহ অনেক বিদেশি মা-বাবা এ দেশে এসে সন্তান জন্ম দিয়ে সন্তানকে আমেরিকান নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ছক আঁকছেন। 

তবে ট্রাম্প প্রশাসন এ ক্ষেত্রে কঠোর। 

তারা মনে করছে, অনাগরিকেরা আমেরিকায় এসে সন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে আমেরিকার নাগরিকদের ওপর বাড়তি বোঝা চাপছে।খবর আইবিএননিউজ।

সূত্র জানায়, আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্রে সন্তান জন্ম দিলেও নাগরিকত্ব অনিশ্চিত জেনেও অনেক বাংলাদেশি দম্পতি এখানে সন্তান জন্ম দিতে আসছেন। 
তারা মনে করছেন, আদালতে বিষয়টি আটকে গেলে তারা সন্তানের নাগরিকত্ব লাভ করতে সক্ষম হবেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক নাগরিক বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখছেন না। 

একজন দেশপ্রেমিক আমেরিকান বলেন, ভিন দেশ থেকে এসে এ দেশে সন্তান জন্ম দিয়ে নাগরিকত্ব নেওয়া অনুচিত। 
কারণ, এতে এ দেশের নাগরিকদের অধিকার খর্ব হয়। 

তিনি আরও বলেন, অনেকে হাসপাতালে সন্তানের জন্ম হওয়ার পর বিলটা পর্যন্ত পরিশোধ করেন না। কারণ এ দেশে আসা রোগীর চিকিৎসা ও সেবা দেওয়া হয় হাসপাতালে। সঙ্গে সঙ্গেই বিল নেওয়া হয় না। চিকিৎসা শেষে বাসায় বিল পাঠানো হয়। তত দিনে যারা এখানে সন্তান জন্ম দিতে আসেন, তারা বাচ্চার সোশ্যাল সিকিউরিটি কার্ড, পাসপোর্ট সবকিছু নিয়ে দেশে চলে যান। 
এরপর সন্তান বড় হলে আবার এখানে আসেন। তিনি যে বিল বাকি রেখে গেছেন, সেটি ধরা পড়ে কয়েক মাস পর, যখন বিল পাঠানো হয় তখন। কারণ তিনি যে ঠিকানায় ছিলেন, ওই ঠিকানায় বিল পাঠানো হয়। সেখানে তাকে পাওয়া যায় না। 
সুতরাং বিলটি বকেয়া রয়ে যায়। 
ডেট কালেক্টরের কাছে পাঠানো হলেও অর্থ আদায় করা সম্ভব হয় না। কারণ তারা এ দেশের ভেতরেই নেই। এই সুযোগ নিয়ে অনেকেই এখানে এসে সন্তান জন্ম দিয়ে সিটিজেনশিপ নিয়েছেন। 
বিষয়টি অনৈতিক। এটি কোনো সৎ ও বিবেকবান লোকের করা উচিত নয়।

এ বিষয়ে একজন অ্যাটর্নি বলেন, এ দেশে সন্তান জন্ম নিলেই আমেরিকান নাগরিকত্ব পাবে কি না, এটা এখনো বলা যাবে না। কেউ জন্ম নিলে তখন সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর বিষয়টি বোঝা যাবে যে তাকে সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বর ও পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে কি না, জন্মসনদে তাকে আমেরিকার সিটিজেন লেখা হয় কি না। 

বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন।

এসময়/ 

নিউজটি পোস্ট করেছেন : মোঃ মনিরুজ্জামান

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
১৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি আজিমের।

১৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি আজিমের।